সুনামগঞ্জে ৪ হাজার কোটি টাকার ধান উৎপন্নের আশাবাদ
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন | সারাদেশ

শামসুল কাদির মিছবাহ (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ৭৩৪ টি পিআইসির মাধ্যমে ১৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়েছিল গত ১৫ নভেম্বর। ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়নি। মার্চ মাসে গিয়ে পুরো হাওরের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এমন দাবী পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টদের। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২ টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভায় এসব তথ্য উপস্থাপন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ১ মামুন হাওলাদার, নির্বাহী প্রকৌশলী ২, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম. জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান নয়ন, পিপি এডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সিনিয়র সাংবাদিক লতিফুর রহমান রাজু, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি এডভোকেট বিমান কান্তি রায় প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন- হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ প্রায় শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। সামান্য ফিনিশিং এর কাজ বাকী থাকলেও দু'একদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।যদি আবহাওয়া অনুকুলে থাকে তাহলে চার হাজার কোটি টাকার সোনার ফসল ঘরে তুলতে সক্ষম হবো। ইতিমধ্যেই ধান কর্তন করার যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য সব কিছুই প্রস্তুত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন- প্রতিটি উপজেলায় জিও বেগ সরবরাহের কাজ চলমান রয়েছে। আগামীতে যেনো কোন অপয়োজনীয় বাঁধের কাজ না হয় সে জন্য যথা সময়ে একটি তালিকা করার আহবান জানান।